নেপালের জালে জোড়া গোলে বিরতিতে বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচের দাপুটে জয়ের পর বাংলাদেশের প্রতি দর্শকের প্রত্যাশা বেড়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটি পূরণ করার পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আজ রোববার (১৩ জুলাই) নেপালের মুখোমুখি হয়েছে বাংলার নারীরা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথমার্ধে দাপট ধরে রাখে স্বাগতিকরা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। মুনকি আক্তারের পাস থেকে ডানপ্রান্ত থেকে সিনহা জাহান শিখা ভালো সুযোগ তৈরি করেন। সাগরিকা চেষ্টা করেছিলেন তৃতীয় মিনিটে। সেট পিস থেকে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল গোলের। যদিও প্রথম গোল পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩ মিনিট পর্যন্ত।
১৩ মিনিটে সাগরিকা ছুটেছেন বল নিয়ে। নেপাল রক্ষণকে ঘোল খাইয়ে তিনি ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের রক্ষণে। সাগরিকা বল ছাড়লে তা পান মুনকি আক্তার। গোলরক্ষক সুজাতা তামাংকে বোকা বানিয়ে বল পাঠাচ্ছিলেন জালে। নেপালের রক্ষণভাগের ফুটবলার গঙ্গা রোকাইয়া একদম গোললাইন থেকে রক্ষা করেন। ফিরতি বলে শিখা বল পাঠান জালে। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
২৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। সমতা ফেরাতে হেডও দেন নেপালি ফুটবলার। তবে, বাংলাদেশি গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী তৈরি ছিলেন। বল লুফে নেন বিশ্বস্ত হাতে। মিনিট দুয়েক বাদে নেপাল আবার চেষ্টা করেছিল, এবারও বল ধরা পড়ে স্বর্ণার গ্লাভসে।
৩৬ মিনিট, মাঠমাঝ থেকে আক্রমণ তৈরি করে বাংলাদেশ। মুনকির বাড়ানো বলে বাঁ দিক থেকে আক্রমণ সাজান শান্তি মারডি। লম্বা ক্রস বাড়ান শিখার দিকে। দুবারের চেষ্টায় নেপাল গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি শিখা। তৃতীয়বারের চেষ্টায় বলকে তার চেনা ঠিকানা জালে পাঠান সাগরিকা। বাংলাদেশ পায় দুই গোলের লিড।
প্রথমার্ধের বাকি সময় গোল দিতে মরিয়া ছিল দুদলই। কখনও গোলরক্ষকের কল্যাণে, কখনও ফিনিশিংয়ের ভুলে গোল পাওয়া হয়নি কারও।