মেসিদের হতাশ করে লিগস কাপ চ্যাম্পিয়ন সিয়াটল

সেমিফাইনালে জোড়া গোল করে ইন্টার মায়ামিকে আরো একটি শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে এই যাতায় ফ্লোরিডা ক্লাবটির হয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা হয়নি আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। মায়ামিকে হতাশ করে লিগস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিয়াটল সাউন্ডার্স।
লিগস কাপ ফাইনালে সিয়াটলের লুমেন ফিল্ডে ইন্টার মায়ামিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিয়াটল সাউন্ডার্স। ঘরের মাঠে প্রায় ৭০ হাজার দর্শকের সামনে ওয়াশিংটনের ক্লাবটি একচেটিয়া দাপট দেখায়। মেসি-সুয়ারেজরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি আজ। বেশ কয়েকবার সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
এদিন বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ পোস্টে কোন শটই নিতে পারেনি মায়ামি। ৬৮ শতাংশ বলের দখল রেখে ১০টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি মেসি- সুয়ারেজরা। বিপরীতে মাত্র ৩২ শতাংশ বলের দখল রেখে ১১টি শট নিয়ে ৭টিই লক্ষ্যে রাখে সিয়াটল।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটেই এগিয়ে যায় সিয়াটল। ডান দিক থেকে অ্যালেক্স রোলডানের দুর্দান্ত এক ক্রসে হেড দিয়ে গোল করেন ওসাজে ডি রোসারিও। প্রথমার্ধে মায়ামি কিছুটা নিষ্প্রভ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে তারা আক্রমণে ফিরে আসে। কিন্তু লিওনেল মেসি-সুয়ারেজরা গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
৮৪তম মিনিটে বক্সের মাঝে সিয়াটলের জর্জিয়া মিনুংগু ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে সিয়াটলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোলডান। এর ৫ মিনিট পর মায়ামির জালে আরও একবার বল জড়ান পল রথরক। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে তার গোলেই ৩-০ ব্যবধানে সাউন্ডার্সের জয় নিশ্চিত করেন।
তবে ম্যাচের পরপরই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। ইন্টার মায়ামির অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ হঠাৎই সাউন্ডার্সের তরুণ মিডফিল্ডার ওবেদ ভার্গাসকে মাথা নিচু করে ধরে ফেলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উভয় দলের খেলোয়াড়রা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন এবং সুয়ারেজকে দেখা যায় সাউন্ডার্সের এক সহকারী কোচের মুখে থুতু ছিটাতে। প্রায় ২ মিনিট ধরে চলা বিশৃঙ্খলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দুই দলই ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে।
এই জয়ে সিয়াটল সাউন্ডার্স প্রথম এমএলএস ক্লাব হিসেবে উত্তর আমেরিকার সব মেজর ট্রফি জয়ের কীর্তি গড়ল। এর আগে তারা দুটি মেজর লিগ শিরোপা, একটি ইউএস ওপেন কাপ এবং ২০২২ সালের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে। এবার তারা তাদের ট্রফির সংগ্রহে যোগ হল ২০২৫ সালের লিগস কাপ শিরোপা।