ইংল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বোলারদের শাসন করলেন রিজান হাসান। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে উচিয়ে ধরলেন ব্যাট। এরপর বল হাতে আলো ছড়ালেন সামিউন বাশির রাতুল। তার স্পিন ঘূর্ণির সামনে টিকতে পারল না ইংল্যান্ডের বাজবল। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) লফবরো স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৯২ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাব দিতে নেমে ৩২.২ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তুলতে পারে ইংলিশরা। ফলে বাংলাদেশ জয় পায় ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে। এর ফলে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ৬ বলে ৪ রান করা ওপেনার ডাউকিসনকে ফেরান ফাহাদ। তিন নম্বরে নামা মরিসকে (১০ বলে ১৪) উইকেটে দাঁড়াতে দেননি আজিজুল হাকিম তামিম। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইংলিশরা। বাজবল স্টাইলে খেলতে থাকেন তারা।
তবে সেটি বেশিক্ষণ টিকতে দেন বাংলাদেশি বোলাররা। ৮৬ রান করা সেই জুটি ভাঙ্গেন স্বাধীন ইসলাম। ফেরান ৩২ বলে ৩৬ রান করা বেনিনসনকে। ওপেনিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালানো ইসহাক মোহাম্মদকে ফেরান রিজান হোসাইন। ফেরার আগে ৫৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর আর কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশরা। নিয়মিত বিরতিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের সাজঘরে পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশি বোলাররা। এতে ৩২.২ ওভারে ২০৫ রান তুলে থামে তাদের ইনিংস।
৪.২ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন রাতুল। দুটি উইকেট নেন স্বাধীন ইসলাম। একটি করে উইকেট গেছে আজিজুল তামিম, ফাহাদ ইসলাম ও রিজানের ঝুলিতে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও। ১৮ বলে ১১ রান করেই বিদায় নেন ওপেনার রিফাত বেগ। ১৩ বলে ৯ রান করে একই পথ দেখেন অধিনায়ক আজিজুল তামিমও। একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার জাওয়াদ আবরারও বেশি সময় টিকতে পারেননি। ৩৮ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে। রিজান হাসান আর কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন মিলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। এতেই বড় সংগ্রহের দেখা পায় বাংলাদেশ। অ্যালিন হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফেরেন ৮৪ বলে ৬৮ রান করে।
এরপর বাকিরা অবশ্য সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি রিজানকে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। থেমেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। ১০১ বলে ১০০ রান করে আউট হন তিনি। ২৯২ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ।