যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের (ইউএসএসি) সদস্যপদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সদস্যপদে থাকার বাধ্যবাধকতা ‘বারবার ও ধারাবাহিকভাবে লঙ্ঘন করায়’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) একটি ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে এমনটিই তুলে ধরা হয়েছে।

তবে সদস্যপদ স্থগিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলগুলো আইসিসির টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র দল। একইসঙ্গে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকেও খেলার সুযোগ থাকবে তাদের।

ক্রিকবাজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর আইসিসির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট একটি কার্যকর পরিচালনাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি দেশের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি পেতে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। বিষয়গুলো ক্রিকেটের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। যে কারণে তাদের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আইসিসি।

তবে ক্রিকেট কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আইসিসি ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা আপাতত যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা সাময়িকভাবে তদারকি করবে। এতে হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম ও খেলোয়াড় উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে আইসিসি।

ইউএসএ ক্রিকেটের সদস্যপদ পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম নির্ধারণ করতে আইসিসির একটি স্বাভাবিকীকরণ কমিটি গঠন করবে। এর মধ্যে থাকবে শাসনব্যবস্থা, কার্যক্রম ও গঠনতন্ত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন। কমিটিটি তদারকির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহায়তাও করবে।

আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই স্থগিতাদেশ দুঃখজনক হলেও খেলার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষায় এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’ একই সঙ্গে তারা আশ্বাস দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রিকেটের প্রসার ঘটানোয় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’