বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

নির্বাচন নয়, যেন নাটকীয়তার মঞ্চ! দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি, একের পর এক অভিযোগ, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, আদালতের দ্বারস্থ হওয়া—সবকিছুর পরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বহুল আলোচিত নির্বাচন। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় প্রকাশিত হবে বোর্ড পরিচালক পদে ভোটগ্রহণের প্রাথমিক ফলাফল। এরপর পরিচালনা পর্ষদের সভায় নির্বাচিত হবেন বিসিবির নতুন সভাপতি ও দুই সহসভাপতি। রাত ৯টায় সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
এই ভোটের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে ২৫ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ, যারা রাতে প্রথম সভায় বেছে নেবেন বিসিবির নতুন সভাপতি ও সহসভাপতিদের। যেখান থেকে দুজন সরাসরি জাতীয় পরিষদ (এনএসসি) থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ২৩ জন আসবেন ভোটের মাঠে লড়াই করে।
নির্বাচনের মাঠ সরগরম রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। সাবেক এই অধিনায়ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন। শুধু তা-ই নয়, সভাপতি পদের জন্য লড়বেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে নেই তিনি। প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রার্থিতা। ফলে, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আরও একবার বিসিবিপ্রধান হওয়া বলা চলে কেবল সময়ের অপেক্ষা।
বিসিবির পরিচালকের চেয়ারে বসার জন্য নির্বাচনে লড়বেন মোট ২৯ জন। এখান থেকে নির্বাচিত ২৫ জনের হাতেই আগামী চার বছরের জন্য থাকবে দেশের ক্রিকেট। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হয়েছেন ৮ জন।
এবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে ভোটার সংখ্যা ৭১ জন। তাদের ভোটে নির্বাচিত হবেন ১০ জন পরিচালক।
ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ঢাকা ভিত্তিক ক্লাব থেকে ভোটার সংখ্যা ৭৬ জন। এই বিভাগে ভোটার মূলত নির্বাচনের ঠিক আগের মৌসুমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলা ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা। এই ক্লাবগুলোর ভোটে বিসিবির মোট ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন।
ক্যাটাগরি-৩ এ ভোটার সংখ্যা ৪৫ জন। এই ক্যাটগারির ভোটাররা হলেন জাতীয় দলের সাবেক ৫ অধিনায়ক ও সাবেক ১০ ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা
যদিও নির্বাচন ঘিরে অসংখ্য প্রশ্ন এবং সমালোচনার জন্ম হয়েছে, তবু ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলামেরই আবার বোর্ডের শীর্ষ আসনে বসা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। নানা অনিয়মের অভিযোগের মাঝে আজকের এই ভোট যেন নতুন করে প্রশ্ন তুলছে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রচর্চা নিয়ে।