গির্জায় যৌন নির্যাতন : ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের দাবি

ফ্রান্সের ক্যাথলিক গির্জাগুলোতে ১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত যাজক পরিষদের সদস্যদের দ্বারা অন্তত দুই লাখ ১৬ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গির্জাগুলোতে হাজার হাজার শিশু নির্যাতনকারী সক্রিয় ছিল। তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে এসব ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত স্বাধীন কমিশন।
এ তথ্য প্রকাশের পর ভুক্তভোগীরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তদন্তে বেরিয়ে আসা চাঞ্চল্যকর ঘটনা শুনে পোপ ফ্রান্সিস ‘কষ্ট পেয়েছেন’ এবং ভুক্তভোগীদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ভুক্তভোগীদের নিয়ে গঠিত সাবেক একটি সংস্থার প্রধান ফ্রাঙ্কোয়া ডেভাক্স তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় দুবার বলেছেন, অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটা বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, নৈতিকতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও শিশুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অলিভিয়ার স্যাভিনাক নামের এক ভুক্তভোগী প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনকে ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রকৃত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ফরাসি গির্জা এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের আর্থিক সহায়তার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে, যা আগামী বছর থেকে শুরু হবে।
ভুক্তভোগীদের কয়েকটি সংগঠন বলছে, তারা তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্যের ভিত্তিতে গির্জার স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া আশা করছেন।
ভুক্তভোগী একজন এই প্রতিবেদনকে ফ্রান্সের ইতিহাসের মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।