বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতে থাকতে পাসপোর্ট লাগবে না

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যারা ভারতে গিয়েছেন, তারা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়াই দেশটিতে থাকতে পারবেন। আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
গত বছর কার্যকর হওয়া নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) অনুসারে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করা এই নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
সদ্য বাস্তবায়িত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫-এর আওতায় জারি করা এই গুরুত্বপূর্ণ আদেশটি বিপুল মানুষের জন্য, বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দুদের জন্য স্বস্তির কারণ।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যারা ধর্মীয় নিপীড়ন বা নিপীড়নের ভয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, তারা বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকার নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন। যারা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে পাসপোর্ট ও অন্যান্য ভ্রমণ নথিসহ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন, অথবা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথিসহ বৈধ কাগজপত্র এবং এই ধরনের নথির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা এই সুবিধা পাবেন।