গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত নাটোরের কৃষকরা

নাটোরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে তৎপর হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। পরম যত্নে তৈরি বীজতলাকে ঘিরে তারা বুনছেন স্বপ্ন। সামনের মাসেই আবাদি জমিতে চারা রোপণ শুরু হবে।
জানা গেছে, সরকারি প্রণোদনা হিসেবে জেলার ৬০০ কৃষককে সার, বীজ ও বালাইনাশকসহ ২০ লাখ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও অন্যান্য উপজেলায় শত শত কৃষক ইতোমধ্যে বীজতলা তৈরি করেছেন।
সদর উপজেলার কৃষক কদর আলী বলেন, ভারি বৃষ্টিতে বীজতলা নষ্ট হলেও আবার নতুন বীজতলা করেছি। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ লাভজনক ফসল।
নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে বীজতলা তৈরিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে প্রায় এক হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যে বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকদের উচ্চ মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। পাশাপাশি শীতে দেশে পেঁয়াজের সংকটে চাহিদা পূরণে অনন্য ভূমিকা রাখে এই মাসলা জাতীয় ফসল। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।