মাস্টার্স পাস যুবকের খামার থেকে বছরে আয় ২০ টাকা লাখ

নড়াইলের চরবকজুড়িতে ‘হাজেরা অ্যাগ্রো ফার্ম’ গড়ে তুলেছেন মাস্টার্স পাস এম এম হাসিব হাসান। ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি ঝোঁক থাকা হাসিব মাত্র দুই বিঘা জমি দিয়ে ২০১৬ সালে খামার শুরু করেন। এখন খামারের পরিধি বেড়ে ৫২ বিঘা। যেখানে ৬০টি উন্নত জাতের গরু রয়েছে। প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়।
স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দুধ ঢাকার বড় মিষ্টির দোকানেও সরবরাহ হয়। খামারের গোবর থেকে উৎপাদিত ট্রাইকো কম্পোস্ট জৈব সারও বিক্রি হয়। এছাড়া বিশাল আম বাগান থেকে বছরে প্রচুর আম উৎপাদিত হয়।
সফল কৃষি উদ্যোক্তা এম এম হাসিব হাসান বলেন, উচ্চ শিক্ষা থাকলেও যে শুধু চাকরি করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তিনি ছোটবেলা থেকেই ভেবেছিলেন অন্যের অধীনে চাকরি না করে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তিনটি গরু দিয়ে শুরু করা খামারটি এখন ৬০টি গরুর খামার এবং ১৫ কর্মচারী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি তাদের পরিবারসহ খামারে থাকার সুযোগও দিয়েছেন।
হাসিব আরও জানান, খামার থেকে বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হয়। তিনি শিক্ষিত যুবকদের অনুরোধ করেন, চাকরির আশা না রেখে নিজেই উদ্যোক্তা হোক। তার অদম্য পরিশ্রম শুধু তাকে স্বাবলম্বী করেনি, এলাকার বেকার যুবকদের মধ্যে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
কৃষি খামারের কর্মচারী মো. রফিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই খামার ও বাগানের কাজ করছি। মাসে আমাদের প্রতিজনের বেতন পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকা করে আসে। এখানে কাজ করেই আমাদের ১৫টি পরিবারের সংসার চলে। আমাদের মালিক খুব ভালো মনের একজন মানুষ। মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের বেতন পরিশোধ করে দেন।
কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী এজাজুল করীম বলেন, হাসিবের মতো শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা আমাদের কৃষিখাতের ভবিষ্যৎ। হাসিব প্রমাণ করেছেন কৃষিকে একটি লাভজনক পেশা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।