হ্যাঁ, তিনি সুচিত্রা

সুচিত্রা সেন বাঙালির অন্তরে রয়েছেন। ছিলেন পর্দা-কাঁপানো নায়িকা। হঠাৎই গুটিয়ে নেন নিজেকে। লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান স্বেচ্ছায়। তার পর কেউ আর তাঁর দেখা পায়নি। ১৯৭৮ থেকে ২০১৪—টানা তিন দশক, পরিবারের লোকজন ছাড়া তাঁর কোনো চিহ্ন নেই কারো কাছে।
এই স্বেচ্ছানির্বাসিত নায়িকাকে নিয়ে আগ্রহ রয়েছে আপামর বাঙালির। অন্তরালের সুচিত্রার দুটি ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৯৯৪ সালে ফটোগ্রাফার তুষার তালুকদার তুলেছিলেন ছবি দুটি।
ছবিটি যে আসলেই সুচিত্রা সেনের, সেটি আনন্দবাজারকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর নাতনি এবং অভিনেত্রী রাইমা সেন। রাইমা বলেছেন, ছবিটি যে তাঁর দিম্মা (নানি) সুচিত্রা সেনের, সে ব্যাপারে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত। কারণ, যে চেয়ারে তিনি বসে আছেন, সেটা তাঁর খুব পরিচিত। এই চেয়ারে উঠেই দিম্মার সঙ্গে দুষ্টুমি করতেন রাইমা আর তাঁর অন্য কাজিনরা। রাইমা জানিয়েছেন, চেয়ারটা খুবই প্রিয় ছিল সুচিত্রা সেনের।
ছবিটির সময়কাল সম্পর্কে রাইমা জানিয়েছেন, সে সময় সুচিত্রা সেন থাকতেন বালিগঞ্জে। আর রাইমা মায়ের সঙ্গে হ্যারিংটন ম্যানশন্সে থাকতেন। শুক্রবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর সেখান থেকেই সোজা বালিগঞ্জে দিম্মার কাছে চলে যেতেন তাঁরা। ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে আসতেন।
অন্য অনেকের মতো ছবিটি দেখে আবেগী হয়ে পড়েছেন রাইমা। বলেছেন, ‘আজ এত বছর পর এই ছবি দেখে তাই বুকের ভেতরটা হু-হু করছে।’