৫০ বছর দোকানে যাই না : আল পাচিনো

খ্যাতির বিড়ম্বনা তারকাদের অবশ্যম্ভাবী নিয়তি। আর তারকার নাম যদি হয় আল পাচিনো, তবে তো বিড়ম্বনা বেশি হবেই। কিন্তু তাই বলে এমন! এনডিটিভির খবরে জানা গেল, গত ৫০ বছরের মধ্যে একবারের জন্য হলেও দোকানে কেনাকাটা করতে যেতে পারেননি আল পাচিনো। কারণ একটাই, অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা!
৭৪ বছর বয়স্ক এই কিংবদন্তী অভিনেতার জুলি মেরি নামের এক কন্যা এবং অ্যান্টন ও অলিভিয়া নামের ১৪ বছর বয়স্ক দুই যমজ সন্তানের জনক। নিজের মুখেই জানিয়ছেন, জনপ্রিয়তার চাপে বছরের পর বছর স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত তিনি।
‘আমি গত ৫০ বছর কোনো দোকানে যাই না কিংবা কোনো সাবওয়ে ট্রেনে চড়ি না’-নিজের ‘ভোগান্তি’ এভাবেই ‘হ্যালো’ ম্যাগাজিনকে জানান পাচিনো। এ নিয়ে কষ্ট থাকলেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন অভ্যাসের সাথে। তবে সন্তানদের ওপরে যখন জনপ্রিয়তার চাপটা পড়েছে, তা মানতে বেশ কষ্ট হয়েছে এই ‘গডফাদার’ তারকার। ‘আমার এটার (খ্যাতির বিড়ম্বনা) সাথে তেমন সমস্যা নেই, মানিয়ে নিয়েছি। কিন্তু কষ্ট হয়েছে আমার সন্তানদের। আমার সাথে বাইরে বেরোনো ওদের জন্য সবসময়ই ছিল কষ্টকর অভিজ্ঞতা’-বলেন পাচিনো।
সন্তানরা যদি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তবে তাতে সায় জানাবেন পাচিনো। তাঁর মতে, এখনই নিজেদের মেধা এবং যোগ্যতা দেখাতে সক্ষম তারা। ‘যদি মেধা থাকে- যা আসলেই ওদের আছে-তাহলে ওদের আমি শোবিজে যেতে উদ্বুদ্ধই করব’-জানান তিনি। সাথে মজা করে বলেন, ‘এই বুড়ো হয়ে গেলে কে বা আমাকে ভাড়া করতে যাবে?’ বোঝা গেল, অভিনয়ে এখনো আগ্রহ কমেনি তার! ‘বিয়ন্ড ডিসিট’ নামের একটি ছবিতে এখন কাজ করছেন তিনি। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী বছর।
আলফ্রেডো জেমস পাচিনো অভিনয়জীবনে পেয়েছেন অগণিত সম্মাননা। ‘সেন্ট অব আ ওম্যান’ ছবির জন্য অস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে। ‘দ্য গডফাদার’ সিরিজ, ‘স্কারফেস’, ‘ডগ ডে আফটারনুন’, ‘সার্পিকো’, ‘ইনসমনিয়া’র মতো অসামান্য ছবিগুলোয় কাজ করেছেন কেন্দ্রীয় ভূমিকায়। শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন হিসেবে ধরা হয় তাঁকে।