সিডাবের নতুন কমিটির যাত্রা শুরু

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় এফডিসির জহির রায়হান কালারল্যাব অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চলচ্চিত্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনেডিরেক্টোরিয়াল অ্যাসোসিয়েটস অব বাংলাদেশের (সিডাব) নব নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন পরিচালক বজলু রাশেদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সিডাব নির্বাচনের কমিশনার সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন, ‘একসময় আমিও সিডাবের সদস্য ছিলাম আজ পরিচালক সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছি। এক সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্রকে পথ দেখিয়েছে এই সিডাব। আশা করব নব নির্বাচিত কমিটি সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে এবং এ দেশের চলচ্চিত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’
পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সদস্য হতে হলে সিডাবের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে এলেই হতো। কিন্তু গত তিন বছর কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে সিডাবের কাজ স্থগিত ছিল। আজ এই নতুন কমিটির শপথ গ্রহণের মাধ্যমে পরিচালক সমিতির এই নিয়ম আবার বহাল করা হলো। এ ছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার আর বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে আরো ৫০ হাজার মোট এক লাখ টাকা দিচ্ছি যা সিডাব পুনর্গঠনের কাজে আসবে। আমরা আশা করি সিডাব চলচ্চিত্র উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’
শিল্পী সমিতির সহসভাপতি নায়ক ওমর সানি বলেন, ‘আমি যখন চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেছিলাম তখন যাঁরা সহকারী পরিচালক ছিলের, তাঁরা আজ অনেক বড় পরিচালক । আমাদের আশা থাকবে সিডাব তার আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে। আমার বিশ্বাস ভালো চলচ্চিত্র পরিচালক হতে হলে সিডাবে আগে কাজ করতে হবে। এ কারণে আমার ছেলেও কিছু দিনের মধ্যেই সিডাবের সদস্য হবে। আমরা বিশ্বাস করি সিডাব বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়নে কাজ করবে।’
পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক বিজয়, কারণ বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো সংগঠনের নির্বাচনে পুরো প্যানেল জয় পেয়েছে। যে বিশ্বাসে মানুষ পুরো প্যানেলকে জয়ী করেছে, তারা সেই মর্যাদা রাখবে।’
নবনির্বাচিত সভাপতি এস আই ফারুক বলেন, ‘সাধারণ সদস্যদের আগ্রহের কারণেই এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলাম, তাঁরা আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটি সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব। আর এখন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো না। যে কারণে আমাদের দায়িত্বও অনেক বেশি। আশা করি আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সঠিক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো।’
এস আই ফারুক (সভাপতি) ও কাজী মনির (সাধারণ সম্পাদক) পরিষদ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন এ কে এম জাহিদ হাসান এ্যাপালো (সহ-সভাপতি), গাজী নুর আলম (যুগ্ম সম্পাদক), সাইদুল ইসলাম সাদ্দাম (কোষাধ্যক্ষ), এস এম সোহেল খান (সাংগঠনিক ও নিরাপত্তা) এবং শাকিল আহম্মেদ চৌধুরী (প্রচার, দপ্তর ও সাংস্কৃতিক)। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মাজহারুল হক বাবু, একরামুল ইসলাম একরাম, সরোয়ার তমিজ উদ্দিন, এ কে এম হেদায়েতুল হক বিপ্লব, এফ এ মোহনী মানিক, মোসাদ্দেক রহমান ফাগুন, আবুল কামাল আজাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খোকন।