৪৪ বছরে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন গায়ত্রী হাজারিকা

আসামি সংগীত অঙ্গনের অন্যতম প্রিয় কণ্ঠ, গায়ত্রী হাজারিকা আর নেই। দীর্ঘদিন কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর গুয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নেমকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. হিতেশ বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, তিনদিন আগে গায়ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। তবে শুক্রবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানাতে থাকেন সহকর্মী, ভক্ত ও বিশিষ্টজনেরা। চলচ্চিত্র নির্মাতা আইমি বড়ুয়া এক্স-এ লেখেন, ‘গায়ত্রী হাজারিকার কণ্ঠস্বর ও তার সহজাত সুরেলা গায়কী বহুদিন ধরে আসামের হৃদয় জয় করে এসেছে—আমারও। তার প্রস্থানে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি হয়তো আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার কণ্ঠস্বর চিরকাল আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি এবং তার পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
সংগীত পরিচালক কাকোটি বলেন, ‘তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান এক শিল্পী। তার মৃত্যু আসামের সংগীতজগতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করল, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’
গায়ত্রী হাজারিকার জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা আসামেই। ঐতিহ্যবাহী আসামি সুরকে আধুনিক সংগীতের ছন্দে মেলাতে তিনি ছিলেন অনন্য। তার কণ্ঠের মাধুর্য ও নিজস্ব শৈলীতে মুগ্ধ ছিলো দেশ-বিদেশের শ্রোতারা। গায়ত্রী হাজারিকা জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তার আইকনিক গান ‘ফাগুন’-এর মাধ্যমে। গানটি এখনো আসামি সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছে। তিনি কেবলমাত্র স্টুডিওর গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না—একজন জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা ও স্টেজ পারফর্মার হিসেবেও তার খ্যাতি ছিল অগাধ।