বিষণ্ণতার চিকিৎসা যেভাবে করা হয়

বিষণ্ণতার চিকিৎসা সাধারণত তিনভাবে করা হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৭তম পর্বে কথা বলেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মো. আজিজুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে এ জাতীয় সমস্যা নিয়ে এলে কীভাবে রোগীকে ব্যবস্থাপনা করেন?
উত্তর : বিষণ্ণতা বা যেকোনো মানসিক রোগের চিকিৎসার তিনটি পর্যায়। একটি বায়োলজিক্যাল চিকিৎসা, যেটা ওষুধ দিয়ে হয়। আরেকটি সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসা। এটি সাইকোথেরাপি, কাউন্সেলিং দিয়ে হয়। আরেকটি হলো সোশ্যাল চিকিৎসা। সমাজে পরিবারে তাকে প্রতিস্থাপন করা হয়।
বায়োলজিক্যাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা ওষুধ ব্যবহার করে থাকি। আবার অনেক জটিল বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে ইলেকট্রোকনভালসিভ থেরাপি (ইসিটি) শক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। যারা আত্মহত্যা করতে চায়, বাঁচার আগ্রহ থাকে না তাদের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা।
সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিহেভিয়ার থেরাপি দিতে পারি, কগনেটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি। তার নেতিবাচক চিন্তাগুলো দূর করার জন্য দিতে পারি। নেতিবাচক চিন্তাগুলো ইতিবাচক করার জন্য থেরাপি দিতে পারি। তার যে মানসিক শক্তিটা কমে যায়, সেটি তোলার জন্য ব্যবস্থা করি। তার চিন্তাশক্তি পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। কিছু সাপোর্টিভ থেরাপি দিতে হবে। শুধু সাপোর্ট দিলেও আমরা তাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তাই কাউন্সেলিং, কগনেটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি, ইনসাইট ওরিয়েনটেড থেরাপির প্রচুর ভূমিকা রয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে। আর পরিবার, সমাজ তাকে আবার রিইনস্টিউট বা প্রতিস্থাপন যদি করতে পারে, তাহলে অনেক ভালো হবে।