বিভিন্ন জটিলতায় কয়েক যুগেও হয়নি ফিজিওথেরাপি কলেজ

প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদক্ষেপের অভাব ও চিকিৎসকদের ক্ষুদ্র একটি অংশের বিরোধিতায় কয়েক যুগেও দেশে কোনো ফিজিওথেরাপি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়নি। একই কারণে কাউন্সিল গঠন ও পদমর্যাদাসহ কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ফিজিক্যাল একটিভিটি ফর লাইফ’। অর্থাৎ শারীরিক কর্মক্ষমতাই জীবন অথবা জীবনের জন্য শারীরিক কার্যক্রম।
দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় রাজধানীতে কয়েক শতাধিক ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে কয়েকজন বক্তা বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে। জনসংখ্যার ২০ ভাগের বয়স ৬০ বছরের ওপর। তাঁরাসহ যাঁরাই বাত-ব্যথা, কোমর, মেরুদণ্ড ও ঘাড়ে ব্যথা, ক্রীড়াঘাত, পক্ষাঘাতগ্রস্ততা (প্যারালাইসিস), মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত (স্ট্রোক) সমস্যায় ভুগছে, তাদের অন্যতম চিকিৎসা ফিজিওথেরাপি। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত মানুষ পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছে। তাদের জন্যও ফিজিওথেরাপি জরুরি। অথচ এখন পর্যন্ত দেশে কোনো ফিজিওথেরাপি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বক্তারা অবিলম্বে ফিজিওথেরাপি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপিএর সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান, মহাসচিব ডা. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।