বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের স্বীকৃতি মেলেনি

বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা ৫০ বছর নিরলসভাবে কাজ করে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো স্বীকৃতি মেলেনি। স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো অংশকে যুগের পর যুগ দমিয়ে রেখে কখনো ভালো স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব নয় ৷ প্রয়োজন সামগ্রিক উন্নয়নের, তাহলেই রোগীরা উপকৃত হবে ৷ আজ বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) উদ্যোগে শোভাযাত্রা শেষে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে অবিলম্বে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের সরকারি ফিজিওথেরাপি কলেজ বাস্তবায়ন, ফিজিওথেরাপি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি পদ সৃষ্টির জন্য জোর দাবি জানানো হয়। বিশেষ করে মহাখালীতে সরকারি ফিজিওথেরাপি কলেজের নামে বরাদ্দকৃত সোয়া পাঁচ একর জমিতে কলেজ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা।
সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে র্যালিটি শেষ হয়। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, বয়সের সাথে প্রাণ যোগ করুন বা জুড়ে দিন।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ফিজিওথেরাপি মেডিসিনের অধিভুক্ত একটি বিজ্ঞান সম্মত, স্বাধীন স্বতন্ত্র, নিরাপদ ও কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ক্ল্যাসিফিকেশন অব অকুপেশন্স-২০০৮)। বিশ্বব্যাপী যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ নানাবিধ কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে এই সংখ্যা যে অগণিত তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ১৯৬০ সাল থেকে বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত হাজার হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম হতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
শোভাযাত্রায় কয়েক শতাধিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিপিএর সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরিদ উদ্দিনসহ অন্য নেতারা ফিজিওথেরাপি পেশার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন।