জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর ৫ কৌশল
নতুন বছরে শরীর ফিট রাখার প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছেন অনেকেই। শরীর ফিট রাখতে হলে জিমে যেতেই হবে। আর জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার জন্য প্রয়োজন সময়ের। কিন্তু নতুন বছরে সকালের অফিস রুটিন হওয়ায় জিমে যাওয়ার সময় বের করতে পারেন না অনেকেই। নতুন বছরের শুরুর দিকে জিমে ভর্তি হলেও জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করার সময় হয় না অনেকের পক্ষেই। জিমে না গিয়েও কিন্তু ফিট থাকা যায়, এমনকি স্লিমও হওয়া যায়। এজন্য জীবনে কয়েকটি বদল আনা জরুরি। তবে এই বদল ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে তবেই পাবেন সঠিক রেজাল্ট। জেনে নিন, জিমে না গিয়েও যেভাবে ফিট থাকবেন।
– ওজন বাড়লেই শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই ফিট থাকতে অবশ্যই নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতেই হবে। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে না চাইলে সকালে শরীরচর্চার জন্য আধ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখুন। বাড়িতেই কার্ডিও ব্যায়াম করুন। এ ছাড়া, নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং, জগিংও করতে পারেন। ওজন কমাতে যোগাসনেও ভরসা রাখতে পারেন। শরীর যত সচল থাকবে, হজম প্রক্রিয়াও ততই ভাল হবে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
– নতুন বছরে ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টি একেবারেই বাদ দিয়ে দিন। ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল শর্করা। ডায়েটে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে সকালে চিনি দেওয়া দুধ চা, দুপুরে খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ, রাত জেগে সিনেমা দেখার সময়ে কেক, চকলেট খাওয়া— এইসব অভ্যাস বন্ধ করুন।
– ডায়েটে ফাইবার বেশি করে রাখতে হবে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ালে হজমপ্রক্রিয়া ভাল হয়। খাবার ভালোভাবে হজম হলে মেদ কম জমে শরীরে। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে প্রোটিন বেশি করে রাখুন।
– মানসিক চাপের কারণেও কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। আর মানসিক চাপ কমাতে ঘুম ভীষণ জরুরি। রাত জাগার অভ্যাস থাকা যাবে না। শরীর চাঙ্গা রাখতে দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে হবে এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।
– সকালের নাশতা নিয়ম করে করতেই হবে। সকালের নাশতা না খেলে চলবে না। সারাদিন অল্প করে খাবার বারবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাওয়া ৮টার আগে সেরে ফেলতে পারেন। এটা স্বাস্থ্যের জন খুব ভাল। তা না করতে পারলে খাওয়ার অন্তত দু’থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান।