বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমতি ছাড়াই ঢাকা ফার্টিলিটি এক্সপোতে বিদেশি চিকিৎসকদের রোগী সেবা দেওয়ার অভিযোগে মেলা বন্ধসহ আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ। এর আগে মেলায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

আজ শনিবার (২৮ জুন) সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এনটিভি অনলাইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা ফার্টিলিটি এক্সপো চালানোর জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেলার আয়োজন করবে বলে অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু তারা শুধু মেলাই নয় মেলার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা, কাউন্সিলিং এবং বিদেশে যাওয়ার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবারই এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেই। একই সঙ্গে তাদের নোটিশ করেছি। আজ কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছি। নোটিশের জবাব দেওয়ার পর আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত ৩ মার্চ ঢাকা ফার্টিলিটি এক্সপো শীর্ষক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইকো এক্সপো। ২৭ মার্চ মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-৭ শাখার উপসচিব মো. সাজেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনুমতি দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এবং হল বুকিংয়ের কপি দেখিয়ে নিরাপত্তার জন্য গত ২১ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) অবহিত করে ২৬ জুন বৃহস্পতিবার মেলার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বাণ্যিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেলার কথা বললেও এ সময় ভারত ও থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা রোগী সেবা দেওয়াসহ রোগীদের ভারত যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ বা প্রচারণা করার অভিযোগ ওঠে। পরে এই দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে মেলাস্থলে যান সিভিল সার্জন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। আজ তাদের আবার কারণ দর্শানের নোটিশ প্রদান করেন। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিএমপিতে দেওয়া ইকো এক্সপোর আবেদনে ‘মেলা’ ও ‘প্রদর্শনী’ শব্দ উল্লেখ থাকলেও এতে বিদেশি চিকিৎসকরা রোগী সেবা দেবেন এমন কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া বাংলাদেশে চিকিৎসার পেশাগত নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিএমডিসির কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।