গ্যালারিতে মেসি, সুয়ারেজের জোড়া গোলে সেমিতে মায়ামি

ইন্টার মায়ামির প্রধান তারকা লিওনেল মেসি। চোটের কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ছিলেন গ্যালারিতে। কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোও লাল কার্ড দেখ দ্বিতীয়ার্ধে ছিলেন না ডাগআউটে। এবার সামনে থেকে দায়িত্বটা নেন লুইস সুয়ারেজ। তার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস ইউএএনএল ২-১ গোলে হারিয়ে লিগস কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। দুটি গোলই এসছে পেনাল্টি থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে চেজ স্টেডিয়ামে খেলতে নামে মায়ামি। ম্যাচে দর্শক হিসেবে ছিলেন মেসি। মাংসপেশির চোটের কারণে দুই ম্যাচ পর মাঠে নামেন গত শনিবার। লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির বিপক্ষে সেই ম্যাচে মায়ামির ৩-১ গোলের জয়ে বদলি হয়ে নেমে গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করে একটি। তবে মাঠ ছাড়ার সময়ও তার পায়ে অস্বস্তি দেখা যায়। তাই সতর্কতাস্বরূপ আজও দর্শকসারিতে থাকতে হয়েছে তাকে।
মেসির অনুপস্থিতিতে আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন সুয়ারেজ। সেই দায়িত্বটা ঠিকভাবেই পালনে করেছেন এই উরুগুয়েন তারকা। ম্যাচের ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় মায়ামি। টাইগ্রেসের বক্সে খেলোয়াড় হাভিয়ের আকুইনোর হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ।
তবে প্রথমার্ধে মায়ামি পড়ে যায় আরেক বিপদে। নিজেদের দুই খেলোয়াড় জর্ডি আলবা ও তেলাস্কো সেগোভিয়ার সংঘর্ষে চোট পান আলবা। যেকারণে প্রথমার্ধের পর আর তাকে মাঠে দেখা যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগেই আরো একবার বড় ধাক্কা খায় মায়ামি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। ফলে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ তাকে গ্যালারিতে কাটাতে হয়েছে, সেখান থেকে তিনি সহকারী কোচকে ফোনে নির্দেশনা দিয়েই বাকিটা সময় পার করেন। এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় সেমিফাইনালেও মায়ামির ডাগআউটে থাকতে পারবেন না এই আর্জেন্টাইন কোচ।
৬৭ মিনিটে টাইগ্রেসের হয়ে সমতায় ফেরান আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল কোরেয়া। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে, ৮৯ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় মায়ামি। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি সুয়ারেজ। পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন সুয়ারেজ।
এই জয়ের ফলে লিগস কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে ইন্টার মায়ামি। প্রতিপক্ষ হিসেবে অরল্যান্ডো সিটি ও তালুকার মধ্যকার জয়ী দলকে পাবে তারা। ফাইনালে ওঠা দুই দল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয়ী দল কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সরাসরি চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোয় খেলার সুযোগ পাবে লিগস কাপের শিরোপাজয়ী দল।