বাঁচার জন্য আর্তনাদ, চোখের সামনে ভেসে গেলেন ১০ শ্রমিক

উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। টনস নদীর তীব্র স্রোতে একটি ট্র্যাক্টর উল্টে যাওয়ায় প্রায় ১০ জন শ্রমিক ভেসে গেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
নদী পারাপারের সময় মাঝনদীতে আটকে পড়া প্রায় ১০ জন শ্রমিক ট্র্যাক্টরে বসেছিলেন। তীরে থাকা লোকজন তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু উদ্ধারের আগেই নদীর প্রবল স্রোতে ট্র্যাক্টরটি উল্টে যায় ও শ্রমিকরা পানির নিচে তলিয়ে যান।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে তীরে থাকা মানুষরা চিৎকার করে উঠেন ও আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক দৌড়াতে শুরু করেন।
রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেরাদুন, মুসৌরি ও মাল দেবতা এলাকায় রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেরাদুনের প্রেম নগরে আইন কলেজের কাছে একটি সেতু ভেসে গেছে। ঘটনার পর পরই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ভারি বর্ষণের ফলে রাজ্যের সমস্ত নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ২৫ থেকে ৩০টি জায়গায় রাস্তা ভেঙে গেছে ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র থেকেও সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।