এনটিভিতে চয়নিকা চৌধুরীর ‘স্যারের মেয়ে’

জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে আগামীকাল সোমবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে একক নাটক ‘স্যারের মেয়ে’। মিজানুর রহমান বেলালের রচনা ও চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।
নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল হায়াত, মনোজ প্রামাণিক, মৌসুমী মৌসহ অনেকে।
নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্যারের মেয়ে নামটা শুনে ভালো লেগেছিল; কারণ, আমার মা একজন শিক্ষক ছিলেন। এ জন্য নামটা খুব ভালো লেগেছিল। তার পর গল্পটা পড়ে দেখলাম, খুবই চমৎকার। হঠাৎ করে মনে হলো, এই স্যারের চরিত্রটা কে করবে? আবুল হায়াত ছাড়া কাউকে তো আমি চোখে দেখি না, তখন করোনার সময় উনি করবেন কি করবেন না। চলে গেলাম বাবার কাছে, গল্পটা বললাম, ভালো লাগল। বলল, তোর কাজ আমি অবশ্যই করব, কারণ, তুই অনেক মেইনটেইন করিস। তারপর দেখলাম, কোনও নায়িকার ডেট পাই না। কেউ ফোন ধরে না, কেউ ব্যস্ত। তার পর মনে হলো, নতুন একটা মেয়েকে ব্রেক দিই। মৌসুমী মৌ যে মেয়েটি, ও আমার কয়েকটা ইন্টারভিউ করেছিল। ওকে ডেকে বললাম, তুমি অভিনয় করবে? আর মনোজ ছিল...।’

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নিরবের কলেজজীবনের শিক্ষক রহমত উল্লাহ এখন ভিক্ষুক। এমন অবস্থায় স্যারকে দেখে খুবই মন খারাপ হয় তার। প্রিয় স্যারের করুণ অবস্থা অনুসন্ধান করতে শুরু করে। অনুসন্ধান করে নিরব জানতে পারে, স্যারের একমাত্র উচ্চশিক্ষিত মেয়ে ইয়াসমিনের স্বামী যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে ইয়াসমিনকে পঙ্গু করে দিয়েছে। স্যার ও স্যারের মেয়ে ইয়াসমিনের করুণ পরিণতি দেখে নিরব মাঠে নামে। স্যারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
এভাবেই এগোতে থাকে নাটকের গল্প। অবশেষে স্যারের মানবেতর জীবনের কি অবসান হয়? স্যারের মেয়ে ইয়াসমিনের স্বামীর কি বিচার হয়? নিরবের সঙ্গে ইয়াসমিনের ছাত্রজীবনের প্রেমের মিলন হয়?