মেনোপজের লক্ষণ কী?

সাধারণত ৫০ থেকে ৫২ বছর বয়সের নারীদের মেনোপজ বা দীর্ঘমেয়াদে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৬৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মেনোপজ কী? মেনোপজের লক্ষণ কী?
উত্তর : মেনোপজ মানে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। এক বছর যদি কারো ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে, সাধারণত ৫০-৫২ বয়সের দিকে, তাহলে তাকে মেনোপজ বলা হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা যেটি হয়, যার মেনোপজ হয় সে ভাবে, তাঁর জীবন শেষ। মানসিকভাবে সে ভেঙে পড়ে। তবে আমাদের দেশে একটু কম হয়। কারণ, তাঁর পরিবারের সদস্যরা হয়তো তাকে ঘিরে থাকে। তবে একা থাকলে অনেকে মনে করেন তাঁর সব শেষ হয়ে গেল।
এ ছাড়া কিছু লক্ষণ হয়। সবার কিন্তু হয় না। যেমন : কিছু হালকা লক্ষণ আছে। আমার বড় লক্ষণও আছে। হালকা লক্ষণের মধ্যে হট ফ্লাস বলে খুব প্রচলিত একটি লক্ষণ রয়েছে। যে হরমোন সারাজীবন তাঁর শরীরকে ব্যবস্থাপনা করেছে সেটি নেই। অর্থাৎ ওভারি থেকে যে ইসট্রোজেন বের হতো, সেটি নেই। ইসট্রোজেন শেষ হয়ে গেছে তাঁর শরীরে। কিছু কিছু প্যারিফেরি থেকে আসবে। তবে ওভারি থেকে আর বের হচ্ছে না। এই ইসট্রোজেনের অভাব থেকে তাঁর কিছু সমস্যা হবে। যেমন : খুব ঘামাবেন, অস্থির লাগবে, প্যালপিটিশন হবে। এগুলো কিন্তু বড় সমস্যা। তখন প্রয়োজনে তাঁদের হরমোনও দিতে হতে পারে। প্রথমে আমরা তাঁকে মানসিকভাবে পরামর্শ দেব। তবে প্রয়োজনে হয়তো হরমোন দিয়ে চিকিৎসা করা লাগবে। প্রধান দুটো লক্ষণ আছে। একটি হলো হাড়ে। আরেকটি আছে হার্টে। হরমোন কিন্তু হার্টকে সুরক্ষিত করে রিপ্রোডাকটিভ বয়সে। এই জন্য মেয়েদের হার্টের রোগ কম হয়। তবে যখন বয়স হয়ে যায়, ইসট্রোজেনটা কমে যায়, তখন তাঁর ঝুঁকি থাকে, হার্টের সমস্যা হওয়ার। হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এই জন্য তাঁর হাড়ে ব্যথা হতে পারে, ফ্রাকচারের ঝুঁকি থাকে। অস্টিওপরোসিস হলে হঠাৎ করে এই সমস্যা হতে পারে।