জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে কী করবেন?

জরায়ুমুখের ক্যানসার বেশ প্রচলিত। এই ক্যানসার প্রতিরোধে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সেলিনা আক্তার। বর্তমানে তিনি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে গাইনি বিভাগের ইউনিটপ্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যদি পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার পরে কী পদক্ষেপ নেন?
উত্তর : যদি প্যাপসমেয়ার পরীক্ষায় ধরা পড়ে, তাহলে আমরা বায়োপসিতে যাই। বায়োপসি করার পর সিআইএন ওয়ান, টু, থ্রি রয়েছে। তখন চিকিৎসা করি। তবে রোগী যদি আর না আসে, চিকিৎসকদের এখানে কিছু পরিকল্পনা করতে হয়। আমরা রোগী দেখে বুঝি, কে আমাদের কাছে ফিরে আসবে, কে আসবে না। যাদের পরিবার পূর্ণ থাকে, গ্রামে থাকে, শিক্ষা কম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নেয়ার হয়তো ইচ্ছা রয়েছে, তবে সামর্থ নেই, এরকম দেখে অনেক সময় আমরা জরায়ু ফেলে দেয়ারও পরামর্শ দিই। তবে সেটি নির্ভর করে।
প্রশ্ন : জরায়ুমুখের সমস্যা প্রতিরোধে করণীয় কী?
উত্তর : সব রোগের মূলেই কিন্তু রয়েছে জীবন যাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাস এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। গ্রামের মেয়েরা কায়িক পরিশ্রম প্রচুর করে। তবে এটি বেশি দেখা যায় শহরেই। প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে। বয়োঃসন্ধি যৌনমিলন বন্ধ করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত চেকআপে আসতে হবে। শুধু চেকাআপে আসলেই হবে না, চিকিৎসক যদি বলে সমস্যা পাওয়া গেছে, তার চেকআপ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ভ্যাক্সিনও চলে এসেছে। ভ্যাক্সিন নেয়া হলেও অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়। ভ্যাক্সিন দেয়া শুরু হয় ১১ বছর বয়স থেকে। সবচেয়ে ভালো হয় বিয়ের আগেই যদি ভ্যাক্সিন নিয়ে নেয়া হয়। ৪৫ বছর পর্যন্ত দেয়া যায়। তবে সবচেয়ে কার্যকর হয়, বিয়ে আগে। আর বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।