স্তন ক্যানসার সারা বিশ্বেই একটি বড় ধরনের সমস্যা।সাধারণত  নারীদের মেনোপজ বা মাসিক চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্তন  ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখা, ফাস্টফুড বেশি খাওয়া, মদ্যপান করা, ধূমপান করা ইত্যাদি কারণে স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে জীবনযাপনের কিছু পরিবর্তন আনলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে বা এর প্রতিরোধে আট উপায়ের কথা। 

১.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
দেহে ওজন বেশি থাকা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে মেনোপজের পর। তাই চল্লিশের পর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। 

২. সবুজ শাকসবজি এবং ফল খান
ফাস্ট ফুড খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে গিয়ে খাদ্যাতালিকায় সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল রাখুন। এ ধনের খাবার ক্যানসারের ঝুঁকিকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

৩. সঠিক মাপের অন্তর্বাস ব্যবহার করুন
ভুল মাপের অন্তর্বাসের ব্যবহার কেবল অস্বস্তিবোধই তৈরি করে না, এটি অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি করে। তাই সঠিক মাপের অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ভালো থাকে এবং শ্বাস প্রশ্বাস ভালোভাবে নেওয়া যায়। এ ছাড়া অন্তত ছয় মাস পর পর অন্তর্বাস পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। 

৪. স্ব-পরীক্ষা
আপনার শরীরকে সবচেয়ে ভালো জানেন আপনিই। তাই ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে প্রায়ই নিজেই স্তন পরীক্ষা করুন। গোসলের সময় সাবান লাগিয়ে হাত দিয়ে দেখুন কোনো ফোলাভাব বা গুটিভাব হচ্ছে কি না। যদি সমস্যা মনে হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। 

৫. পারিবারিক ইতিহাস
যদি পরিবারের কারো স্তন ক্যানসার হওয়ার ইতিহাস থাকে তাহলে আপনারও এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১০ শতাংশ স্তন ক্যানসার বংশগত কারণে হয়। তাই পরিবারের মেডিকেল ইতিহাস জানুন। এমন হলে নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষা করুন। 

৬. মদ্যপান ও ধূমপান 
মদ্যপান ও ধূমপান স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই এসব বিষয় ত্যাগ করতে হবে। 

৭. শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান 
বুকের দুধ খাওয়ানো শরীরের এসট্রোজেনের মাত্রাকে সাময়িকভাবে কমিয়ে দেয়। বলা হয়, কোনো নারী যদি শিশুকে এক বছরের বেশি বুকের দুধ পান করান তবে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান।

৮. স্ক্রিনিং
ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে ৩০ বছরের পর নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি। অনেকেই এই বিষয়ে আলসেমি করেন। তাই ক্যানসার আছে কি না নির্ণয়ে নিয়মিত ম্যামোগ্রাফি এবং সোনোগ্রাফি চেকআপ করুন।