বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস : সবার জন্য, সবখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি

আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে নানা রকম কর্মসূচির ভেতর দিয়ে।
১৯৫০ সালে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্মদিনটিকেই বেছে নেওয়া হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সেমিনার, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, টেলিভিশনে আলোচনা, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, প্রেস ব্রিফিং, প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দিবসটি পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমতা ও সংহতিনির্ভর সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’।
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নতির সঙ্গে এই বিষয়টি জড়িত।
ডব্লিউএইচও সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্বের বিচারে পয়লা নম্বরে রেখেছে। সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলতে ‘সবার জন্য, সবখানে, সামর্থ্যের নাগালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ’ বোঝায়। কিন্তু সমগ্র পৃথিবীতে বাস্তবচিত্র আমাদের প্রত্যাশার থেকে অনেক দূরে।
জাতিসংঘের এক হিসাবে জানা যায়, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ এখনো প্রয়োজনীয় ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা পায় না। প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যের চরম সীমায় বসবাস করছে। ৮০০ মিলিয়ন মানুষ (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ) তাদের দৈনন্দিন খরচের ১০ ভাগ স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করতে পারে।
জাতিসংঘ ২০৩০ সালের ভেতর সমতাভিত্তিক সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সবার জন্য নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারই (sustainable development goal) একটি অংশ।
লেখক : রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।