চল্লিশের পর নারীর যেই শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা জরুরি

চল্লিশের পর নারীর শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি আক্রমণ করতে থাকে। তাই এ সময় কিছু পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. প্যাপ স্মেয়ার
এই পরীক্ষা অনেকেই এড়িয়ে যান। জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না, এটি বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। ৩০ বছর থেকেই এ পরীক্ষা করা উচিত। আর অবশ্যই ৪০ বছরের পর এই পরীক্ষা দুই থেকে তিন বছর পরপর করতে হবে।
২. থাইরয়েডের কার্যক্রম
থাইরয়েড সমস্যায় অনেক নারীই ভুগে থাকেন। অনেকের হাইপোথাইরয়েডিজম এবং অনেকের হাইপারথাইরয়েডিজম হয়। হাত-পায়ে ও গাঁটে ব্যথা, পা ফোলা ইত্যাদি থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ।
৩. ম্যামোগ্রাম
স্তন ক্যানসার নারী শরীরের একটি জটিল অসুখ। স্তন ক্যানসারে ঝুঁকি বোঝার জন্য মেমোগ্রাম করতে পারেন।
৪. হাড়ের ঘনত্ব
বয়স বাড়তে থাকলে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। তাই ৪০ বছরের পরপরই হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এতে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করা যায়।
৫. হৃৎপিণ্ড
বয়স বাড়তে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চল্লিশের পর হার্ট ভালো আছে কি না, সেটি নিয়মিত চেকআপ করতে হবে।
৬. ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের ক্ষয় হয়, অস্টিওপরোসিসের আশঙ্কা বাড়ে। ৪০ বছর পর থেকে নারীর শরীরে ভিটামিন ডি বেশি প্রয়োজন হয়। তাই ভিটামিন ডি পরীক্ষা করা উচিত।
৭. ডায়াবেটিস
৪০ বছরের পর অনেক নারীই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে। তাই ডায়াবেটিস আছে কি না, এই পরীক্ষাও করা উচিত।
৮. রক্তচাপ
মেনোপজ হওয়ার পর উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বেড়ে যায়। মেনোপজ হওয়ার আগেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। তাই চল্লিশের পর থেকে রক্তচাপ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
৯. চোখ
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের সমস্যা হতে শুরু করে। চোখে ছানি পড়া, চোখের শুষ্কতা, কম দেখার সমস্যা হতে পারে এ সময়। তাই চল্লিশের পর অবশ্যই চোখ পরীক্ষা করানো জরুরি।