আলোর মুখ দেখেনি ‘স্বাস্থ্য সেবা কার্ড’

প্রেসক্রিপশন আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফাইল সংরক্ষণের ঝামেলা এড়িয়ে রোগীর চিকিৎসা সেবা সহজ করতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ‘স্বাস্থ্য সেবা কার্ড’ প্রকল্প। কিন্তু শুরু হওয়ার ২ বছর পরও পুরোপুরি আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি।
শুরুর দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই কার্ড দেওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী কাজ করছে এ দুই উপজেলার দুটি হাসপাতাল। তবে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ করা গেলেও কার্ড দিতে পারেনি কাউকে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে মকসুদপুর হাসপাতালে ‘স্বাস্থ্য কার্ড’ সেবা চালু হয়। তবে এটির জন্য যে কার্ড দেওয়ার কথা রয়েছে আমরা সেটি এখনও দিতে পারিনি। কারণ এটি দেওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (এমআইএস)। কিন্তু তারা এখনও দেননি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এ প্রকল্পর বিষয়ে আমার কোনো ধারণা বা জানা নেই।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত ৪-৫ মাস ধরে আমাদের এ সার্ভিসটা বন্ধ রয়েছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা রোগীদের বিষয়গুলো সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। বর্তমানে সার্ভার ডাউন থাকায় সেবা বা কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন কার্ডের সঙ্গে মিল রেখে স্বাস্থ্য কার্ড করা হবে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কার্ডের ওপর ভিত্তি করে ওই ব্যক্তির হেলথ প্রোফাইল তৈরি হবে, যাতে ওই ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। একজন রোগী যখন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাবে, তখন এই কার্ড দেখে চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র, পুরনো প্রেসক্রিপশন বহন করতে হবে না। সব তথ্যই সেখানে সংরক্ষিত থাকবে।