প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা রোগীর স্বার্থ সংরক্ষণে বিরাট পরিবর্তন আনবে : বিএমইউ উপাচার্য

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা রোগীর স্বার্থ সংরক্ষণসহ সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বিএমইউর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপাচার্য এ কথা বলেন। বিএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচর্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বা প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নাই। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাকে ছড়িয়ে দিতে পারলে রোগী, তথা জনস্বার্থ সংরক্ষণসহ সামগ্রিক চিকিৎসায় ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আসবে। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা হলো সত্যের সাক্ষ্য। চিকিৎসকরা যদি তাদের প্রেসক্রিপশনে গাইডলাইন এবং প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাকে অনুসরণ করে ওষুধ লেখেন, চিকিৎসা পরামর্শ দেন, তাহলে রোগীরা যেমন সঠিক চিকিৎসাসেবা পাবেন আবার চিকিৎসক সমাজের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতেও বড় অবদান রাখবে। নতুন জ্ঞান আহরণ, গুণগত মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষার প্রসার, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা, রোগীসহ জনস্বার্থ রক্ষা করা, যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসার অবদান অপরিসীম।’
কর্মশালায় বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোজাম্মেল হক, ক্রিটিক্যালি আপরাইজিং দ্য ইভিডেন্সেস অ্যান্ড রিলিভেন্ট স্ট্যাটিকস বিষয়ে তথ্য সমৃদ্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়া আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. নুরুন নাহার খানম ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন এর ইতিহাস ও প্রয়োজনীয়তা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিনের ইন্ট্রোডাকশন, ইভালুয়েশন, ফরমুলেটিং ক্লিনিক্যাল কোয়েশন্সস বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা রোগীর চিকিৎসায় সর্বোত্তম বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা এবং রোগীর পছন্দ ও মূল্যবোধকে একত্রিত করে ব্যবহার করা হয়। এটি চিকিৎসাকে আরও নিরাপদ ও কার্যকর করে তোলে। অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা হ্রাস করে এবং রোগীর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণেও ভূমিকা রাখে।

কর্মশালায় বিএমইউর ফিটোমেটারনাল মেডিসিন বিভাগ, কার্ডিওলজি বিভাগ, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগ, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের ডিপার্টমেন্টাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির ২০ জন সদস্য অংশ নেন।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ফিটোম্যাটানাল মেডিসিন বিভাগের কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, বিভাগীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম পারভীন, সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দা সাঈদা, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দা নাজলী মোস্তফা, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম প্রমুখ অংশ নেন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ মো. ফারুক ওসমানী ও অতিরিক্ত পরিচালক ডা. তারিক রেজা আলী।