স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান? ৫ প্রকার পানীয়ে হতে পারে উপকার

পানি ছাড়াও প্রতিদিন আমরা নানা রকম পানীয় গ্রহণ করি, যা মূলত সুস্বাদু এবং মানসিক তৃপ্তিদায়ক। তবে এমন কিছু পরিচিত পানীয় রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত পান করলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হতে পারে। পাাশাপাশি দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হয়। চিকিৎসকদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট পানীয় মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নিই এমনই ৫টি উপকারী পানীয় সম্পর্কে।
গ্রিন টি
গ্রিন টির মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং কাজের একাগ্রতা বাড়ায়। এতে থাকা বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড ধমনীকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধে কার্যকর।
কফি
কফির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন থাকে, যা মস্তিষ্কে এক ধরনের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। কফির মধ্যে উপস্থিত ক্লোরেজেনিক অ্যাসিড মস্তিষ্কের জটিল হিসাব জাতীয় কাজে । সম্প্রতি ‘প্লস মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ কফি খেলে হৃদরোগ এবং স্মৃতিভ্রম শতকরা ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
বিটের রস
বিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, যা দেহের নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ‘দ্য জার্নাল অফ জেরেন্টোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চিন্তাশক্তির বৃদ্ধি করে বিটের রস। সপ্তাহে তিন দিন ২৫০ থেকে ৩৫০ মিলিলিটার বিটের রস খেলে তা স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে উপকারী।
কাঁচা হলুদের পানি
কাঁচা হলুদ এবং গোলমরিচ গরম পানিতে ফুটিয়ে পান করা যেতে পারে। এই পানীয়ের মধ্যে কারকিউমিন নামে এক ধরনে যৌগ থাকে, যা দেহে প্রদাহ বন্ধ করতে সহায্য করে। কাঁচা হলুদ এবং গোলমরিচের পানীয়টির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের পক্ষে উপকারী। এই পানীয়ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
তুলসী
আয়ুর্বেদে তুলসীর একাধিক গুণের উল্লেখ রয়েছে। বলা হয় শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে তুলসীর বিশেষ ভূমিকায় রয়েছে। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর একাধিক গবেষণায় তুলসীর বহুমুখী গুণের উল্লেখ রয়েছে। উদ্বেগ এবং অবসাদ কাটাতে তুলসীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মস্তিষ্কে ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে তুলসী। গরম পানিতে তুলসীপাতা, আদা দিয়ে ফুটিয়ে চায়ের মতো তা পান করা যায়। স্বাদের জন্য এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।