কোষ্ঠকাঠিন্যেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, কীভাবে এড়াবেন এই সমস্যা?

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণত সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হলে একে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে, তারাই শুধু জানে এর কষ্ট। কিন্তু দিনের পর দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভুগলে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। যেমন দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে অর্শরোগ হতে পারে। আবার হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে যোগ রয়েছে হার্ট অ্যাটাকের। সামান্য
কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু এই সমস্যা যদি ক্রনিক হয়ে যায়, তাহলে চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আসলে নানা কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল, অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া— এমন নানা কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হৃদরোগের জন্যও দায়ী।
অন্যদিকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে ঠিকমতো পেট পরিষ্কার হয় না। শরীরে টক্সিন জমা থাকে। সেখান থেকে প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহ অন্ত্র, কোলনের পাশাপাশি হার্টেও ছড়াতে পারে। এখান থেকেও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের আরও একটি কারণ হলো উচ্চ কোলেস্টেরল। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মলত্যাগে সমস্যা হলে এবং তার জন্য দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে বেশি চাপ দেওয়া হলে বাড়তে পারে জীবনের ঝুঁকি। সুতরাং এই ধরনের বিষয়কে হালকা ভাবে নেবেন না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়ানো সহজ উপায়
অনেক সময় গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় কিংবা আয়রন বা ফোলেটের সাপ্লিমেন্ট খেলেও এই সমস্যা হয়। কিছু শারীরিক জটিলতায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই সমস্যা এড়ানো যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের জেরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় বাড়ে। তখন লাইফস্টাইলে পরিবর্তন না এনে কোনো উপায় নেই। কী কী করবেন এবং কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন।
— পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
— ফাইবারে ভরপুর খাবার খান। এ ক্ষেত্রে দানাশস্য, শাকসবজি ও বাদাম ডায়েটে রাখুন।
— প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খান।
— রেড মিট, উচ্চ ফ্যাট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
— মদ্যপান ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন