সাবিনা-মাসুরাদের ছাড়াই দল ঘোষণা, সোমবার জর্ডান যাচ্ছে বাংলাদেশ

নারী ফুটবলে সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছিল। হঠাৎ বিদ্রোহ বরেন ১৮ জন ফুটবলার। বেসামাল হয় অবস্থা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী বিভাগের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদ্রোহীরা ক্যাম্পে ফিরেছিলেন। সবাই ভেবেছিল, কোচের সঙ্গে এবার বুঝি সম্পর্কের বরফ গলেছে।
বাস্তবতা অবশ্য দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। জর্ডানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার আগে ২৩ সদস্যের যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাফুফে, তাতে নেই সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মাসুরা পারভীনের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাররা। যদিও, পিটার বাদলারের দলে ৯ জন বিদ্রোহী ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন।
বিদ্রোহের কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার সাবিনা কেন দলে নেই, বাকিদেরই বা কেন রাখা হয়নি, সেই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে আজ রোববার (২৫ মে) মাহফুজা আক্তার জানান, এখানে তার কোনো হস্তক্ষেপ নেই। দল নির্বাচনে শতভাগ স্বাধীনতা কোচের আছে।
কোচ বাটলার বলেন, ‘অনেক কিছু বিবেচনা করে তাদের দলে নেওয়া হয়নি। কেউ কেউ দেশের বাইরে আছেন। কারও শৃঙ্খলার অভাব, ফিটনেস নেই। দলে জায়গা না পাওয়ার সঙ্গে বিদ্রোহের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা আছে, তারা খেলোয়াড় হিসেবে যথেষ্ট ভালো।’
সাবিনা খাতুন. মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রাণী ও মাতসুশিমা সুমাইয়া—সাফজয়ী পাঁচ তারকাকে ছাড়াই আগামীকাল সকালে জর্ডানের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ। সেখানে আগামী ৩১ মে ও ৩ জুন স্বাগতিক জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।
আগামী ২৩ জুন থেকে মিয়ানমারে শুরু হবে এএফসি উইমেন্স এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে মিয়ানমার, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে ম্যাচ দুটি খেলবে বাংলাদেশ। সাবিনার পরিবর্তে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন আফঈদা খন্দকার।