ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী নৌকায় মার্কিন হামলা, নিহত ১১

ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত একটি নৌকায় মার্কিন সেনাদের বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোরে এই হামলা চালানো হয়। ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে আকাশ থেকে ধারণকৃত ফুটেজ প্রকাশ করে লেখেন, “হামলায় ১১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি।” খবর আল জাজিরার।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক আনার স্বপ্ন দেখছে, তাদের জন্য এটি হুঁশিয়ারি— সাবধান!”
হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে স্পেস কমান্ডের নতুন সদর দফতরের ঘোষণা দিতে গিয়ে হঠাৎ ট্রাম্প এই হামলার খবর দেন। তার পাশে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা কয়েক মিনিট আগেই একটি মাদকবাহী নৌকা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। নৌকাটি ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছিল।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, হামলাটি দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরে হয়েছে।
এদিকে, রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন আছে, যেখানে ৪ হাজার ৫০০ এর বেশি নৌসেনা ও মেরিন রয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে আক্রমণ করলে তিনি দেশকে “অস্ত্রধারী প্রজাতন্ত্র” হিসেবে ঘোষণা করবেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রথমে কিছুটা সম্পর্কোন্নতির ইঙ্গিত দিলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আবারও ভেনেজুয়েলার ওপর কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। গত মাসে তিনি মাদুরোর গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কার বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার ঘোষণা করেন।
তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দুটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার সরকার সরাসরি ট্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে— এমন প্রমাণ নেই। যদিও দেশটির দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই অপরাধী সংগঠনকে সক্রিয় হতে সাহায্য করছে।
গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলা জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তবে মঙ্গলবারের হামলার বিষয়ে কারাকাস এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।