সফলতার রহস্য জানালেন সৈকত

আগের ১৯ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছিলেন স্রেফ ৭টি উইকেট। গতকাল রোববার এক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। বোলিংয়ে অনিমিয়ত সৈকত হঠাৎ কীভাবে পেলেন এই সাফল্য? সেই রহস্য নিজেই জানালেন এই অলরাউন্ডার।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সৈকতের বোলিংয়ে ইনিংসের শুরুটা দারুণ হয় সফরকারীদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন সৈকত। এরপরও বাকি সময়েও জিম্বাবুয়েকে একাই দিশেহারা বানিয়ে দেন এই স্পিনার।
শেষ পর্যন্ত নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২১ রানে দুই উইকেট।
ম্যাচ শেষে নিজের সাফল্যের রহস্য জানিয়ে সৈকত বলেন, ‘আমি আগে কখনো কল্পনা করিনি ৫ উইকেট পেতে পারি। বোলিং করেছি ডট বলের পরিকল্পনায়। নিজের পরিকল্পনায় স্থির থেকেছি। শুধুমাত্র ভালো জায়গায় বোলিং করতে চেয়েছি। এ জন্য সফল হয়েছি।’
সেই সঙ্গে আরেকটি ব্যাপারে নিজেকে ভাগ্যবান বলছেন সৈকত, ‘বোলিংয়ে আমার রান ১৯-ও হতে পারত আবার ২১ রানও হতে পারত। আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে শেষ করার এবং সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। সাকিব ভাইকে নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই। এই ফরম্যাটের জন্য কিংবদন্তি সে। তার যে ইকোনমি ও ৫ উইকেট আছে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট), সেটা আমারও আছে, সেই জায়গা থেকে আমি বলবো আমি ভাগ্যবান।’
সৈকত আরো বলেন, ‘অধিনায়ক যখন বল দিয়েছিল, আমার মাথায় ঘুরছিল কীভাবে রানটা আটকে রাখতে পারি প্রথম থেকে। আগের দিন দেখেছি এই উইকেটে দুইশ রান হয়েছে। ওই জায়গা থেকে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম ১৬০-১৭০ রানে যদি রাখতে পারি অবশ্যই সেটা আমাদের দলের জন্য ভালো। ওই পরিকল্পনাই ছিল। আর কিছু চেষ্টা করিনি। ৫ উইকেটের জন্য বোলিং করিনি। আমার পরিকল্পনা ছিল ডট বল করার। ভালো জায়গায় বল করেছি বলে ফল পেয়েছি।’