বিসিবির ভিন্ন আয়োজন ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’

আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভিন্ন ভিন্ন সব আয়োজন করে যাচ্ছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে কিছুদিন আগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেঠকে বসেছিলেন তিনি। যেখানে ক্রিকেটারদের কাছে থেকে বোর্ডের কাজ নিয়ে একটি জরিপ করা হয়েছিল। সেই মাত্রাটাকে আরও বৃদ্ধি করতে আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) আবারও ভিন্ন এক আয়োজন করেছিল বিসিবি। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’।
আজ রাজধানীর একটি পাঁচ-তারকা হোটেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে এই আয়োজন করে বিসিবি। বৈঠকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ছাড়াও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক, কোচিং স্টাফও। লক্ষ্য ক্রিকেটের উন্নয়ন। টানা তিন ঘণ্টার সেই বেঠকে ক্রিকেটাররা বিসিবির কাজ নিয়ে মতামত দেন, পর্যালোচনা করেন, পরামর্শ দেন।
বৈঠক শেষে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিজেই। তিনি বলেন, ‘আজকে দুটি বড় কাজ করেছি আমরা। জাতীয় দলে যারা খেলোয়াড় রয়েছেন, সঙ্গে যারা সাপোর্ট স্টাফ আছেন, কোচরা রয়েছেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম। বোর্ডের পরিচালকরা এখানে ছিলেন। আমাদের প্রোগ্রামের নাম ছিল শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার।’
বিসিবি সভাপতির ভাষায় মাঠে যারা খেলে তারা একটি দল, যারা ডাগআউটে বসে তারা একটা দল, যারা বোর্ডে কাজ করেন তারা আরেকটা দল। তিন দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বুলবুল বলেন, ‘এই তিন দলের পারফরম্যান্স কী, আমরা সবার কাছে আটটি প্রশ্ন করেছিলাম। সেগুলোর উত্তর নিয়ে আমরা ডেটা এনালাইসিস করেছি। শেয়ার করেছি কীভাবে আরও উন্নতি করতে পারি।’
অনেক সময়ই উইকেট, ফ্যাসিলিটিজসহ নানা বিষয়ের ঘাটতি নিয়ে কথা শোনা যায়। ক্রিকেটাররা নিজেরাও সেগুলো নিয়ে কথা বলেছেন অনেক সময়। বিসিবি সভাপতি আজ ক্রিকেটারদের কাছে থেকে সে বিষয়গুলোই শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা খেলোয়াড়দের কতটুকু সাহায্য করতে পারছি। কতটুকু ঘাটতি রয়েছে, কীভাবে সেটা পূরণ করব, যাতে আমাদের ক্রিকেটাররা নিশ্চিন্তে মাঠে খেলতে পারে।’
পরের কথায় বুলবুল খোলাসা করেই বললেন, ক্রিকেটাররা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার। তাদের সবকিছুই দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব। সেজন্য শুধু চিকিৎসাকে বোঝাচ্ছি না, মাঠে কোচরা যে দেখভাল করেন, সেটিই সবকিছু নয়। এখানে লজিস্টিক, পিচ কন্ডিশন, অনুশীলন সুবিধা, চিকিৎসাসহ সব বিষয়ে কতটুকু সহায়তা করতে পারছি, সেসব বিষয়ে ক্রিকেটাররা মন খুলে লিখেছেন, সাজেশন দিয়েছেন সকলে। সেখান থেকে জানতে পারছি আমরা আসলে কোথায় অবস্থান করছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’
বিসিবি আগের সেই জরিপে ক্রিকেটারদের নিজেদের কথা লেখারও একটি অপশন রাখা হয়েছিল। সেখানে ক্রিকেটাররা সবকিছু লিখেছিলেন। এরপর আজ আবারও ক্রিকেটাররা তাদের সমস্যাগুলো শেয়ার করেছে। যা আনন্দিত করেছে বিসিবি সভাপতিকে।
বুলবুল বলেন, ‘সবথেকে ভালো লেগেছে মনের কথা লেখার পরেও আজ ক্রিকেটাররা শারিরীকভাবে এসেছে। তাদের সমস্যাগুলো, সফলতাগুলো শেয়ার করেছে। তারা এটাও বলেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে তারা যে যে সহায়তা পাচ্ছে তাতে তারা খুশি। আরও কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে উন্নতি করা যায়। তবে দিনশেষে এটা আজকে বোঝাতে পেরেছি যে, হারলে শুধু খেলোয়াড়রাই হারে না, কর্মকর্তারাও হারে, আমরা একটা দল।’