নতুন করে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স দেওয়া হবে

আগামী চার মাসের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে বেশকিছু প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ-২০২৫’-এ তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ২০১৭ সাল থেকে অনেক লাইসেন্স পেন্ডিং আছে। কিছু শর্ত দিয়ে চার মাসের মধ্যে তাদের লাইসেন্স দিতে পারি। শর্তপূরণে কিছু সময় বেঁধে দিতে পারি। সব প্রতিষ্ঠান মান উপযোগী না। তারা যেন মান বজায় রাখে সেটা গুরুত্ব দেবেন।
সাইদুর রহমান বলেন. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আসলে ১৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার পুরোটা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমরা দেখছি, ৭৩ শতাংশ সেবা আসছে সরকারের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। এখানে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও আছে। তবে আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। এ সমন্বয় কীভাবে করা যায় সেটি নিশ্চিত করতে হলে একে অপরকে দোষারোপ না করে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এ সেবা নিশ্চিত করতে হলে এক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, এ খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের ১০০ দিনের পরিকল্পনা আছে। এরমধ্যে যতটুকু করা যায়, করব। পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার এটিকে এগিয়ে নেবে। আমরা এখানে সেবার জন্য সব আয়োজন করি। কিন্তু রোগ সংক্রান্ত সচেতনতাটা খুবই দুর্বল।
শিক্ষায় স্বাস্থ্যের বিষয় উপেক্ষিত থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যপাঠ উপেক্ষিত। আমরা গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়াচ্ছি। কিন্তু তাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করছি না। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খেলাধুলা করাচ্ছে। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য যে খেলাধুলা, সেটি নেই। তাই সব মন্ত্রণালয়কে বলেছি, তাদের সব কাজে যেন স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় থাকে।
সাইদুর রহমান বলেন, গ্রামের চেয়ে নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নাজুক। সেটিকে কীভাবে কার্যকর করা যায়, তার জন্য ঢাকার ২১টি গভর্নমেন্ট ডিসপেনসারিকে (জিওডি) কার্যকর করতে চাচ্ছি।